post office franchise business idea : আমরা সকলে কমবেশি জানি ভারতীয় পোস্ট অফিস (India Post) দেশের প্রতিটি প্রান্তে ডাক সেবা পৌঁছে দিতে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি স্কিম চালু করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আগ্রহী প্রার্থীরা পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে অল্প বিনিয়োগ করে আপনি প্রতি মাসে ভালো আয় করার সুযোগ পেতে পারেন। নিচে আমরা এই স্কিমের যোগ্যতা, বিনিয়োগের পরিমাণ, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, আবেদন পদ্ধতি এবং সম্ভাব্য আয়ের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি স্কিমের উদ্দেশ্য
ভারতীয় পোস্ট অফিসের মূল লক্ষ্য হলো এমন এলাকায় ডাক সেবা প্রদান করা যেখানে পোস্ট অফিস স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। এর মাধ্যমে গ্রামীণ এবং শহুরে উভয় এলাকায় ডাক সেবার সহজলভ্যতা বৃদ্ধি পাবে। সাধারণ মানুষ সহজেই পোস্ট অফিসের সুবিধা পারবেন এবং সহজে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ই-কমার্স বিজনেসের সুবিধা পাবেন।
পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রকারভেদ
এক্ষেত্রে মোট ২ ভাবে পোস্ট অফিসের ফ্রাঞ্চাইজি দেওয়া হয়ে থাকে –
১. ফ্র্যাঞ্চাইজি আউটলেট: যেখানে পোস্ট অফিস নেই, সেখানে কাউন্টার পরিষেবা প্রদান করা।
২. ডাক এজেন্ট: শহর ও গ্রামে ডাকটিকিট ও স্টেশনারি বিক্রয় করা।
এক্ষেত্রে কি যোগ্যতা প্রয়োজন রয়েছে
- বয়স: আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হবে সর্বাধিক বয়সের কোন সীমারেখা নেই।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করলে এক্ষেত্রে আবেদন জানাতে পারবেন।
- কম্পিউটার জ্ঞান: এক্ষেত্রেকম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষতা থাকা বাঞ্ছনীয়।
- ভাষা দক্ষতা: অবশ্যই স্থানীয় ভাষা ও ইংরেজিতে পারদর্শিতা থাকতে হবে তাহলে সুযোগ পাবেন।
- প্যান নম্বর: পোস্ট অফিসের মাধ্যমে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের লেনদেনে করা হয় তাই বৈধ প্যান কার্ড থাকা আবশ্যক।
ফ্রাঞ্চাইজি নিতে বিনিয়োগের পরিমাণ
- সিকিউরিটি ডিপোজিট: এক্ষেত্রে এককালীন পোস্ট অফিসে নিতে ১০,০০০ এককালীন সিকিউরিটি ডিপোজিট করতে হবে, যা পোস্ট অফিসে জমা থাকবে।
- অপারেশনাল খরচ: এছাড়াও স্থানীয় বাজার অনুযায়ী ভাড়ার খরচ, বিদ্যুৎ বিল এবং অন্যান্য খরচ এলাকা ভিত্তিক করতে হবে।
আবেদন করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
- প্রথমত পূর্ণাঙ্গ আবেদনপত্র।
- পরিচয় প্রমাণ হিসেবে (আধার কার্ড, ভোটার আইডি)।
- ঠিকানার প্রমাণ বা বসবাস প্রমাণ।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সমস্ত সার্টিফিকেট।
- প্যান কার্ডের কপি।
- পাসপোর্ট সাইজের রিসেন্ট ছবি।
- কম্পিউটার জ্ঞানের প্রমাণ সার্টিফিকেট (যদি থাকে)।
আবেদন পদ্ধতি
১. আবেদন সংগ্রহ: নিকটস্থ পোস্ট অফিস বা India Post-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট বের করতে হবে।
২. ফর্ম পূরণ: প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদনপত্র পূরণ নির্ভূল ভাবে পূরণ করতে হবে।
৩. ডকুমেন্ট সংযুক্তি: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আবেদনপত্রের সাথে উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টস সমূহ সংযুক্ত করতে হবে।
৪. আবেদন জমা: সম্পূর্ণ আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট পোস্টাল ডিভিশনের প্রধানের কাছে জমা দিতে হবে। অবশ্যই ছুটির দিন বাদে সব দিনে জমা করতে পারবেন।
৫. নির্বাচন প্রক্রিয়া: আবেদনগুলি পর্যালোচনা করে যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন করা হবে।
৬. চুক্তি স্বাক্ষর: নির্বাচিত প্রার্থীদের সাথে মেমোরান্ডাম অফ এগ্রিমেন্ট (MOA) চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার মাধ্যমে সুযোগ দেওয়া হবে।
৭. প্রশিক্ষণ ও সহায়তা: এরপর নির্বাচিত ফ্র্যাঞ্চাইজিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করা হবে।যাক পোস্ট অফিস করতে দেওয়া হবে।
প্রতিমাসে পাবেন ১০,০০০ টাকা! পোস্ট অফিস দিচ্ছে দারুণ স্কিমের সুবিধা -India Post MIS Scheme
আনুমানিক আয়
ফ্র্যাঞ্চাইজিরা প্রদত্ত পরিষেবার উপর কমিশন ভিত্তিতে আয় করার সুযোগ দেওয়া হবে। পোস্ট অফিস কর্তৃক কমিশনের হার নিম্নরূপ আলোচিত:
- রেজিস্টার্ড লেটার: প্রতি নিবন্ধিত চিঠির জন্য ৩ টাকা দেওয়া হবে ।
- মানি অর্ডার: ২০০-এর বেশি মূল্যের মানি অর্ডারের জন্য ৫ টাকা দেওয়া হবে।
- ডাকটিকিট ও স্টেশনারি বিক্রয়: বিক্রয় মূল্যের উপর ৫% কমিশন দেওয়া হবে।
- স্পিড পোস্ট: মাসিক ব্যবসার উপর ভিত্তি করে ৭% থেকে ২৫% পর্যন্ত কমিশন দেওয়া হবে ।
যেহেতু উপরোক্ত বিষয়গুলো উপর ভিত্তি করে এক্ষেত্রে ইনকামের সুযোগ দেওয়া হবে তাই আপনার ইনকাম ফিক্স হবে না। কমিশন ভিত্তিক হয় আপনার পরিষেবার উপর ভিত্তি করে ইনকাম করার সুযোগ থাকবে।