WB School Vacancy Update :রাজ্যে রেশন চুরি, কয়লা চুরি, গরু পাচার পর উঠে এসেছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। এতে রাজ্যের তাবোর তাবোর নেতা মন্ত্রীদের নাম জড়িয়েছে। মোটা টাকার বিনিময়ে অজস্র অযোগ্য ব্যক্তিবর্গকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ। এই নিয়ে পূর্বের শিক্ষামন্ত্রী সহ এসএসসি চেয়ারম্যান জেলে রয়েছেন। বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগের একাধিক মামলা কোর্টে আটকে থাকায় এক দশক ধরে নতুন শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ। এই মত অবস্থায় বর্তমানে রাজ্যের স্কুল গুলিতে কত শূন্যপদ ফাকা রয়েছে এই নিয়ে একটি RTI ফাইল অ্যাপ্লাই করল একজন শিক্ষক। সেই RTI উত্তরের জবাবে রাজ্য সরকারের পক্ষে কি জানানো হয়েছে তা নিয়ে আজকের প্রতিবেদন।
• RTI জবাবে কি জানালো সরকার :
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অনিমেষ হালদার পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি একটি শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। স্কুলের শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য তার কাছে আসে। তাই বর্তমানে রাজ্যের স্কুল গুলিতে কত শূন্য পদ ফাঁকা রয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য পেতে একটি RTI করেছিল। অনিমেষ বাবু শিক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি তথা এসপিআইওর কাছে আরটিআই করেন। তবে সেই RTI জবাব যা এসেছে তা দেখে শিক্ষা মহলের চক্ষু চরক গাছ। কি রয়েছে সেই আরটিআই রিপোর্টে সেটাই বর্তমানে শিক্ষামহলে যথেষ্ট চর্চার বিষয়।
ডেপুটি সেক্রেটারির সেই চিঠি স্কুল শিক্ষা কমিশনারের এসপিআইওর কাছে পাঠান। সেখান থেকে চিঠি যায় গ্রান্ট ইন এইড সেকশনে। সবশেষে সেখান থেকে জানানো হয় বর্তমানে রাজ্যের স্কুল গুলিতে কত শূন্য পদ ফাঁকা রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো তথ্য বর্তমানে উপস্থিত নেই তাদের কাছে। আসলে বিকাশ ভবন বর্তমান মোট শূন্য পদের সংখ্যা জানাতে পারেননি। শিক্ষা দপ্তরের নীতি গুলি যেহেতু শূন্য পদের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়, তাই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মোট শূন্যপদ সংখ্যা না জানাতে পারলে নীতি নির্ধারণ নিয়ে কি কাজ করবেন। RTI তথ্যকে ভিত্তি করে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অনেকে মনে করছেন সরকার ইচ্ছা করেই শিক্ষা দপ্তরের মোট শূন্য পদের সংখ্যা চেপে রাখতে চাইছে। যেহেতু দীর্ঘকাল যাবত শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে রাজ্যে, তাই এই মত অবস্থায় শূন্য পদের সংখ্যা দেখানো হলে চাকরি প্রার্থীদের নতুন চাকরির দাবিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। তাই রাজ্য সরকারের তথ্য গোপন রাখছে।
পরিশেষে বলা যায় রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ২০১৭ সালের পর আর নতুন করে অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০২২ প্রাথমিক টেট পাশ চাকরি প্রার্থীরা এই নিয়ে বারংবার পথে নেমেছেন। এছাড়াও স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর একাধিক আইনি জটিলতার কারণে নতুন নিয়োগ সম্ভব হয়নি। মাঝে দীর্ঘ আট বছর নতুন শিক্ষক নিয়োগের মুখ দেখেননি b.ed চাকরি প্রার্থীরা।
এই অবস্থায় রাজ্যের স্কুল গুলিতে কত শূন্য পদ রয়েছে সেই তথ্য ফাঁস হলে সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণিত হবে। এত শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারছে না সরকার। এই অবস্থায় রাজ্যে মোট কত শূন্য পদ রয়েছে তার ডাটা প্রকাশিত হলে সর্বত্র হৈচৈ পড়ে যাবে, তাই সরকারের তথ্য গোপন বলে অনেকে মনে করছে।
WhatsApp Channel | Join Now |
Telegram Channel | Join Now |