পুজোয় মূখ্যমন্ত্রীর দারুণ ঘোষণা! রাজ্যবাসী পাবেন লক্ষাধিক টাকা, দেখুন বিস্তারিত -WB Govt Scheme

দেশের গরীব ও মধ্যবিত্ত পরিবার যাদের মাথায় ছাদ নেই, তাদের পাকা ঘর দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা PM Awas Yojana চালু হয়েছে। আবাস যোজনার অন্তর্গত লক্ষ লক্ষ পরিবার ইতিমধ্যেই ঘর পেয়েছেন এবং আগামীতেও পেতে চলেছে। তবে সাম্প্রতিক প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বেশ কিছু দুর্নীতি চোখে পড়েছে কেন্দ্র সরকারের। তাই কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা টাকা বন্ধ রেখেছে। এই মত অবস্থায় রাজ্যের গরিব মানুষ গুলো ঝড়-বৃষ্টি রোদে বড় বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। কিছুদিন আগে রাজ্যজুড়ে প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে‌ বন্যা দেখা দিয়েছে, বহু সাধারণ পরিবার তাদের মাথা গোজার শেষ সম্বল কুঁড়েঘর টুকু হারিয়েছে। ‌ এদের কথা চিন্তা করে বর্তমানে রাজ্য সরকার নতুন প্রকল্পের সূচনা করেছেন। WB Govt Scheme

 

কেন্দ্র সরকার যেহেতু বর্তমানে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা টাকা দিচ্ছেন না তাই রাজ্য সরকার নিজের উদ্যোগে গরিব মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় Banglar Bari Scheme বা বাংলার বাড়ি প্রকল্প নামে নতুন একটি প্রকল্পের সূচনা করেছেন। ‌ এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ পরিবার বাড়ি তৈরীর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা পেয়ে থাকেন।‌ টাকার পরিমান সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ২০ থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। আবাস যোজনার টাকা আপনি কিভাবে পাবেন তা বিস্তারিত দেখুন। WB Govt Scheme

• বাংলা আবাস যোজনা :

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাংলার গরীব পরিবারের জন্য বাংলা আবাস যোজনা নামে একটি নতুন প্রকল্পের সূচনা করেছেন। ‌এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার যে সকল পরিবারের মাথা গোজার মতো ছাদ নেই, দীর্ঘ রোদ বৃষ্টি ঝড়ে কষ্ট করে জীবন অতিবাহিত করছেন, তাদের আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে গৃহ নির্মাণে সহায়তা করা। বাংলা আবাস যোজনায় প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। বেশ কিছু পরিবার টাকা পেয়েছেন। যে সকল পরিবার বাংলা আবাস যোজনার টাকা এখনো পাননি তারা কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। ‌ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষনা করেছেন আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যের প্রায় সাড়ে এগারো লক্ষ বাড়ি তৈরি বকেয়া টাকা দেওয়া হবে।

• কিভাবে টাকা দেওয়া হবে‌ :

বাংলা আবাস যোজনার এই টাকা একবারে প্রদান করা হয় না। কারণ অনেক সময় দেখা গিয়েছে আবাস যোজনার টাকা পরিবারগুলো অন্য খাতে ব্যয় করেছেন। তাই ৩ টি কিস্তির মাধ্যমে ধাপে ধাপে এই টাকা দেওয়া হবে। সর্বমোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। তারমধ্যে প্রথম ধাপে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ‌ এরপর এই টাকা দিয়ে গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করার পর পুনরায় ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপের টাকা দিয়ে বাড়ি নির্মাণের পর অবশেষে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। এভাবেই ধাপে ধাপে বাংলা আবাস যোজনার টাকা প্রদান করা হবে।

• আবেদন পদ্ধতি‌ :

বাংলা আবাস প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী নিম্নলিখিত মাধ্যম গুলি অবলম্বন করতে হবে।

  1. এই প্রকল্পে আবেদন করার আগে আবেদনকারীদের একটি মুচলেখা লিখতে হবে। এই মুচ লেখায় উল্লেখ থাকবে, বাংলা আবাস যোজনার সম্পূর্ণ টাকা আপনি আবাস নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত করবেন। এই মুচলেখা প্রদানের কারণ ইতিপূর্বে অনেকেই বাংলা আবাস যোজনা টাকা গৃহ নির্মাণ কাজে ব্যবহার করেনি
  2. ইতিপূর্বে আপনি বাংলা আবাস যোজনার মাধ্যমে অথবা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে গৃহ নির্মাণের টাকা পেয়ে থাকলে আবেদন অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
  3.  মূলত আর্থিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য বাংলা আবাস যোজনা। ‌ তাই আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবার যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না।
  4.  বাংলা আবাস যোজনা, অনলাইন অথবা অফলাইন দুটি প্রক্রিয়ায় আবেদন জানাতে পারবেন। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য সমেত আবেদনকারীর প্রদত্ত নথিপত্র গুলি প্রদান করতে হবে।

পুজোর মরশুমে সুখবর! SBI Bank দিচ্ছে গ্রাহকদের 50 হাজার টাকা, কীভাবে পাবেন দেখেনিন

 

ভারতীয় রেল দেশের বৃহত্তম পরিবহন সংস্থা। যার মাধ্যমে দেশের সাধারণ জনগণ অল্প খরচে পরিবহনের সুবিধা উপভোগ করে থাকে। রেল পরিবহনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার করতে প্রচুর কর্মীর প্রয়োজন। সে কারণে প্রতিবছর ভারতীয় রেলে হাজার হাজার শুন্য পদে কর্মী নিয়োগ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে RRB NTPC তরফে টেকনিক্যাল ও নন টেকনিক্যাল পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত করেছে। এখানে কয়েক হাজার শুন্য পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। সকল ভারতীয় নাগরিক নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। নিম্নে এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো। Railway Job Recruitment

∆শূন্য পদের নাম:

ভারতীয় রেলের নন টেকনিক্যাল মূলত তিনটি শূন্য পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। এই পদ গুলির যথাক্রমে- কমার্শিয়াল কাম টিকিট ক্লার্ক, অ্যাকাউন্ট ক্লার্ক কাম টাইপিস্ট, জুনিয়র ক্লার্ক কাম মুদ্রাক্ষরিক, ট্রেন ক্লার্ক পদ।

∆মোট শূন্য পদের সংখ্যা:

ভারতীয় রেলের RRB NTPC বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন পদে কি শূন্য পদ রয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করা হলো –

•কমার্শিয়াল কাম টিকিট ক্লার্ক – ২০২২ পদ

•অ্যাকাউন্ট ক্লার্ক কাম টাইপিস্ট – ৩৬১ পদ

•জুনিয়র ক্লার্ক কাম মুদ্রাক্ষরিক – ৯৯০টি পদ

•ট্রেন ক্লার্ক – ৭২টি পদ

∆আবেদন যোগ্যতা:

আগ্রহী চাকরিপ্রার্থীদের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া অংশগ্রহণে জন্য ITI অথবা পলিটেকনিক ডিপ্লোমা কোর্সের প্রয়োজন নেই। কোন স্বীকৃত বিদ্যালয় থেকে যেকোনো শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে থাকলেই সকল চাকরি প্রার্থীরা আবেদনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

∆আবেদন পদ্ধতি:

আবেদন প্রক্রিয়াটি অনলাইনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হবে। তার জন্য আবেদনকারী কে সর্বপ্রথমে ভারতীয় রেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট rrbapply.gov.in- ভিজিট করতে হবে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাবার পর একটি বৈধ মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি চলাকালীন আবেদনকারীকে একটি লগইন পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। পরবর্তীকালে এই রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ও লগইন পাসওয়ার্ড দিয়ে পুনরায় লগইন করলে, আবেদনকারীর সামনে একটি আবেদনের পেজ খুলে যাবে। আবেদন পত্রের উল্লেখিত তথ্যগুলি সঠিকভাবে পূরণের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে নিতে হবে। আবেদন চলাকালীন আবেদনকারীর রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো এবং সিগনেচার, সমস্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার নথিপত্র, জাতিগত সংশয় পত্র ইত্যাদি নথিপত্র গুলো আপলোড দিতে হবে। সবশেষে আবেদন ফি জমা করলেই আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।

∆আবেদন ফি:

আবেদন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন মূল্য হিসেবে নেওয়া হবে ৫০০ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন সংরক্ষণ শ্রেণীর চাকরিপ্রার্থী যথা- SC, ST, প্রাক্তন সৈনিক, মহিলা, PwBD, ট্রান্সজেন্ডার, সংখ্যালঘু প্রভৃতি আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদন মূল্য হিসেবে প্রয়োজন ২৫০ টাকা। আবেদনকালীন টাকা লাগলেও পরবর্তীকালে আবেদন প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে, চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন মূল্য পুনরায় ভারতীয় রেলের তরফে ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।

রাজ্যে গ্রুপ সি পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, উচ্চ মাধ্যমিক পাশে আবেদন করুন – WB Job Recruitment

পুজোয় মূখ্যমন্ত্রীর দারুণ ঘোষণা! রাজ্যবাসী পাবেন লক্ষাধিক টাকা, দেখুন বিস্তারিত -WB Govt Scheme

প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া:

ভারতীয় রেলের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী চাকরিপ্রার্থীদের বাছাই ক্ষেত্রে সর্ব প্রথমে কম্পিউটার ভিত্তিক CBT-1 টেস্ট নেওয়া হবে। এই পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদের পরবর্তীকালে CBT-2 টেস্টের জন্য ডাকা হবে। সবশেষে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে আবেদনকারীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।

∆আবেদন শেষ তারিখ:

আবেদন প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে যে চলবে আগামী ২০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত। এছাড়াও আবেদন ফি জমা দেওয়ার তারিখ রয়েছে ২৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত।

Official Website Click Now
Online Application Click Now